
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শুরু থেকেই কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের কথিত সালানা জলসা বন্ধ করা হলে গতকাল পঞ্চগড়ে হতাহতের এমন নির্মম ঘটনা ঘটতো না। হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী স্বীকার না করে মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবী হিসেবে স্বীকার করায় সারা দুনিয়ার সকল আলেমের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাদিয়ানীরা কাফের। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয় ভাবে অমুসলিম ঘোষণার ঈমানী আন্দোলন চলে আসলেও সে দিকে দৃষ্টিপাত না করে উল্টো তাদেরকে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ে জলসা করার অনুমতি দেওয়াই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ডেকে আনার সামিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্মসূচী ঘোষণা করলে নবীপ্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা তা মেনে নিতে পারবে না, এই বাস্তবতা অনুভব করে কথিত সেই জলসা বন্ধ না করে উল্টো আন্দোলনরত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালানো অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, প্রশাসনকে গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসল্লীদেরকে অযথা হয়রানী করা বন্ধ করতে হবে এবং যারা গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আজ দুপুর ১২টায় পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কয়েকজন দায়িত্বশীল জরুরী এক বৈঠকে মিলিত হয়ে এ সব কথা বলেছেন। দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, অর্থ সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন কাসেমী ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী।