পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি রাশিয়ার


রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ক্রিমিয়ার দিকে হাত বাড়ালে বিষয়টি রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হবে। ফলে পরমাণু অস্ত্রসহ যে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার পাবে ক্রেমলিন। খবর আনাদোলু।

রাশিয়ান সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ভিকে ইউজারদের প্রশ্নের জবাবে মেদভেদেভ দাবি করেন, ন্যাটো সাহায্য না করলে কিয়েভ এক সপ্তাহও টিকত না। ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার বিষয়ে মেদভেদেভ বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, এ ধরনের যে কোনো প্রচেষ্টা আমাদেরকে সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেবে। এটি রাশিয়ার একটি অংশ। আর একটি দেশের কোনো একটি অংশ দখলের চেষ্টা পুরো রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপরই হামলার সমতুল্য। ফলে এটি রক্ষায় রাশিয়া যে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। আশা করি, সমুদ্রের ওপারে থাকা আমাদের বন্ধুরা এটা বুঝতে পারবে।

রাশিয়ান ও মার্কিন সেনাবাহিনীর তুলনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মেদভেদেভ বলেন, এর তুলনা কেবল সামরিক লড়াইয়ের সময়ই বোঝা সম্ভব। তবে এটা বলা ঠিক নয় যে, মার্কিন সেনাবাহিনী সবচেয়ে শক্তিশালী এবং রুশ সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী শক্তি। কারণ এ দুটি পক্ষ লড়াইয়ে লিপ্ত হলে কোনো পক্ষই বিজয়ী হবে না। বরং এ লড়াই অনিবার্যভাবে পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হবে। যাতে দুই দেশই নিশ্চিতভাবে পরাজিত হবে এবং সব মিলিয়ে পরিণতি হবে এক কথায় ভয়াবহ।

মেদভেদেভ বলেন, আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই, রুশ ফেডারেশন কেবল ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ করছে না, তারা যুদ্ধ করছে ৩৬ লাখ সেনাসদস্যের ন্যাটোর সাথে। তারা বেশ ভালোভাবেই এ যুদ্ধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আবার রাশিয়া লড়াই করছে ৮০ কোটি মানুষের সাথেও, যেসব দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র, অর্থসহ নানা ধরনের সাহায্য সহায়তা করছে।

অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে বিদেশি সামরিক বাহিনীকে সরিয়ে নিতে এবং কিয়েভকে সহায়তা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি হুমকি দেন, আমাদের কথা অমান্য করা হলে, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে যতদূর যেতে হয় যাব।

এ সময় তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এবং রাশিয়াকে ভেটো অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলেন, এ রকম কিছু করা হলে তাতে পুরো সংস্থাই নিঃশেষ হয়ে যাবে।