পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ে বললেন আইজিপি

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবাজারসংলগ্ন অন্তত পাঁচটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে ছিল অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও।

আজ মঙ্গলবার আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বেলা সোয়া তিনটার দিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা ভোরবেলা আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পৌনে সাতটার মধ্যে সব সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন। আমরা এসে মারাত্মক আগুন দেখি, ফায়ার সার্ভিস চারদিক থেকে কাজ করছে। আমরাও রাজারবাগ থেকে পাঁচটা ওয়াটার ক্যানন এনে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ শুরু করি। আমাদের ওয়াটার রিজার্ভার থেকে প্রায় দুই লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দিয়েছি, আমাদের প্রায় দুই হাজার ফোর্স এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। র‌্যাব-বিজিবিসহ তিন বাহিনীর সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে আমরা কিছুক্ষণ আগে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর পেয়েছি।’

পুলিশ সদর দপ্তরে আগুন প্রসঙ্গে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমাদের একটি ব্যারাকে আগুন লেগেছে। আমাদের সব সদস্যরা নিরাপদে বের হতে পেরেছেন, তবে কোনো মালামাল বের করতে পারেননি তাঁরা। তবে ডকুমেন্টস ও কী কী মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা প্রসঙ্গে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কী অবস্থা, এখানে হাজার হাজার মানুষ। হামলার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি, এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ঘটনাটা যখন ঘটে, আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল না। আস্তে আস্তে আমরা শক্তি বৃদ্ধি করেছি, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এখন পুরো পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও ঠিক রেখেছি, যার কারণে এত বড় ঘটনার পরও ঢাকার ট্রাফিক সচল ছিল।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে কমিটির তদন্তে বের হয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নিব।’