পরোয়ানা জারি করলে নেতানিয়াহুকে তারা গ্রেপ্তার করবে জার্মানি

জার্মানি জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তাকে গ্রেপ্তার করবে দেশটি। ২২ মে, বুধবার এক বিবৃতিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রেট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেবেস্ট্রেট বলেছেন, জার্মানি আইসিসির রায়কে সবসময় মেনে চলবে। ফলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে, তিনি যদি কখনও জার্মানিতে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

২০ মে, সোমবার আইসিসির প্রসিকিউটর জেনারেল করিম খান ঘোষণা করেছেন, তিনি নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করেছেন। যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া, গাজার শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তিনি।

ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত করিম খান জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরায়েল এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় পক্ষই দায়ী।

তার এই ঘোষণার পর জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আইসিসির স্বাধীনতা ও কর্মপদ্ধতিকে সম্মান করে। তবে ইসরায়েলি এবং হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে অভিযোগ করার বিষয়ে সমালোচনা  করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। জার্মানি জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ সমতার ভুল ধারণা তৈরি করেছে।

গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা সত্ত্বেও জার্মানি ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ৩৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল।

উল্লেখ্য, ২১ মে, মঙ্গলবার নরওয়েও একই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে, তারা যদি কখনও নরওয়েতে আসেন তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব