পশ্চিমা বিরোধী ‘চীন-রাশিয়া ঐক্যফ্রন্ট‘ ঘোষণা

চীন-রাশিয়া নতুন ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে গঠন করা এই ফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশ দুটির প্রধান শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে চীন ও রাশিয়ার সম্পর্কের একটি নতুন যুগের শুরু হলো। মস্কোতে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর টিআরটি ্ওয়ার্ল্ড।

পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে শির সাথে উন্মুক্ত আলোচনা হয়েছে। বেইজিংয়ের ১২ দফা শান্তি আলোচনার প্রশংসা করে তিনি সংলাপ এবং সব দেশের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারগুলোতে গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অনেক বিধান রয়েছে। একটি শান্তিপূর্ণ মীমাংসার ভিত্তি হিসেবে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রস্তুত থাকতে হবে। পুতিনের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত আমরা তাদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তুতি দেখিনি।

খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য জানিয়েছে, চীন নিরপেক্ষ মধ্যস্থতায় সক্ষম হবে বলে মনে করে না ওয়াশিংটন। বেইজিংয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যাতে আর বিরোধ বেশি দূর না গড়ায়।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তারা ইউক্রেন ছাড়াও অন্যান্য দেশে প্রাণঘাতি অস্ত্র পাঠাবে, বিশেষ করে যারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।

ব্রাসেলসে শুমান সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের প্রতিক্রিয়াকে আমরা ইউরোপে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা এজেন্ডা হিসেবে বিবেচনা করি।

অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কিয়েভ সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সফল আলোচনা করেছেন। রাশিয়ান সন্ত্রাসবাদ থেকে বিশ্বকে সুরক্ষা দিতে নেতাদের আরও জোরালোভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে জাপান অত্যন্ত স্পষ্ট অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইউক্রেনের সঙ্গে প্রায় ১৫.৬ বিলিয়ন মূল্যের একটি চার বছরের অর্থায়ন প্যাকেজের জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। চুক্তিটি আইএমএফ স্টাফ কর্মকর্তাদের এবং ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে আলোচনার পরে সম্পন্ন হলো।