পাঠ্যক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন

সুদীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত ধর্মীয় শিক্ষার বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করে শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যের সাথে অভিন্নতাবোধ নির্মাণের প্রয়াস হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষাকে স্রেফ বৈশিষ্ট্যহীনতায় রূপান্তরের ষড়যন্ত্র বৈ আর কিছুই নয়।

সমাজ নীতিহীনতার পাতালে তলিয়ে যাচ্ছে; দুর্নীতিতে দেশ আকণ্ঠ ডুবে আছে। যেখানে চোখ বুলাবেন মিথ্যা, প্রতারণা,প্রবঞ্চনা, জুলুম, নিপীড়ন, অনাচার,ব্যাভিচার,ধর্ষণ এবং অধিকার হরণের প্রতিযোগিতা চলছে।

সমস্যা সর্বব্যাপী মহামারীর আকার ধারণ করায় পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে সূক্ষ্মজ্ঞান ও অনুসন্ধানের দরকার নেই। বহুবিধ মোটিভেশন,উপদেশ,ওয়াজ-নসিহত,শাস্তি-চোখ রাঙানি কোনো কিছুই যেন এই অবক্ষয়ের তুফানকে ঠেকাতে পারছে না। অবস্থার এতই অবনতি ঘটেছে যে,কেবল সচেতন নয়,অচেতন-অর্ধচেতনরাও হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে মানুষের মনুষ্যত্ব কীভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে।

এহেন সংকটাপন্ন মুহূর্তে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের চূড়ান্ত রূপরেখায় ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ায় ষড়যন্ত্র অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং পরিতাপের বিষয়। 

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এ দেশের  মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করে এবং তারা ধর্মীয় শিক্ষাকে মনে-প্রাণে ধারণ করে।  আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শৈশবকালই ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের উপযুক্ত সময়। শিশু বয়সেই তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হয়।

সরকার প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চায়। সরকার ধর্মহীন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান চালু করে মানুষকে অধার্মিক, অনৈতিক ও পাপাচারে নিমজ্জিত সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে ধর্মহীন শিক্ষা কোনো শিক্ষাই নয়। এটা হলো কুশিক্ষা, যা মানুষকে ধীরে ধীরে নৈতিকতা বিবর্জিত অন্যায়ের দিকে নিয়ে যায়। ফলে দেশ সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, জিনা-ব্যাভিচার, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতি ও পাপাচারে ভরে যাবে। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে।  সরকারের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আহসানুল ইসলাম রাকিব 

শিক্ষার্থী- জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ