পাঠ্যসূচি থেকে ধর্মীয় শিক্ষা সরানোর গভীর ষড়যন্ত্র

মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন

সম্প্রতি ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে সুদূরপ্রসারী এক ষড়যন্ত্রের বাতাস ৯০% মুসলমানের দেশ এ বাঙলার মাটতে বইতে শুরু করেছে। এমনকি ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়নের পথে এগুতেও শুরু করেছে। ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষায় আরবি ১ম ও ২য় পত্র এবং এসএসসিতে ধর্ম বিষয়কে বাদ দেয়ার মত ধৃষ্টতা দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাবোর্ড। যা দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার নামান্তর। ধর্ম শিক্ষা নিয়ে এ গভীর ষড়যন্ত্রের শুরু এখন থেকে নয়, বরং এর ধারাবাহিকতা পূর্ব থেকেই চলে আসছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ -এর সভাপতি এ কে এম মাহবুবুল আলম ও মহাসচিব প্রফেসর মোঃ আব্দুর রহমান এক বিবৃতিতে  বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ২৩-০৬-২২ তারিখে এনসিটিবি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই শিক্ষাক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে যে, নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত প্রচারণাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির অভিন্ন সুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রিফ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এই বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ ক্ষতির বিষয়টি শুভঙ্করের ফাঁকির মত চাতুরতার সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কারণ প্রথম পাবলিক পরীক্ষা এসএসসির সমষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। (জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা : পৃঃ ৯৭)
এখান থেকে একটি বিষয় সূর্যের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে যায়—একটি কুচক্রী মহল পাঠ্যসূচি থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে সরানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। প্রথমত তারা ধর্মীয় বিষয়কে পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়েছে, পাশাপাশি বাৎসরিক গড়ে ধর্ম বিষয়ের ক্লাসও কমিয়ে দিয়েছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা এ বিষয়ে বলেন, “পরীক্ষা থেকে ধর্ম বিষয়কে বাদ দিলেই যে সেটার চর্চা কমে যাবে, বিষয়টি সঠিক নয়।”
অথচ তারা ধর্ম বিষয় পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পাঠ্যসূচিতে অবহেলার পাত্র হিসেবে ফেলে রেখেছে, যা একটি মুসলিম দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আর এভাবে চলতে থাকলে, আগামী প্রজন্ম ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে নীতি নৈতিকতা শুণ্য এক প্রতিবন্ধী জাতিতে রূপান্তরিত হবে, তাদের  জীবন পশ্চিমাদের মত হয়ে উশৃংখল উঠবে যা অন্ততপক্ষে ৯০% মুসলমানদের দেশে কল্পনা করা যায় না।

শিক্ষার্থী

জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ

মিরপুর, ঢাকা