পিকেকের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত

উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ৬ জন তুর্কি সেনা নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে। ১২ জানুয়ারি, শুক্রবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপারেশন ক্ল-লক জোনে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে পিকেকে সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য একজন গুরুতর আহত সৈন্য মারা যায়। হামলাকারীরা যখন ঘাঁটিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তখন আরও ৭ জন সৈন্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। লড়াইয়ের সময় কমপক্ষে ১২ জন পিকেকে সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত আমাদের সীমান্তের ভিতরে এবং বাইরে পিকেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবো।’ 

গত মাসে উত্তর ইরাকে অবস্থিত তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে দুটি পৃথক হামলায় এক ডজন তুর্কি সেনা নিহত হয়। পিকেকের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের পুরনো এই লড়াইয়ে গত ২৫ বছর ধরে উত্তর ইরাকে কয়েক ডজন সামরিক পোস্ট স্থাপন করেছে তুরস্ক।   

তুর্কি সীমান্তের কাছে উত্তর ইরাকের মেটিনা, জাপ এবং আভাসিন-বাসিয়ান অঞ্চলে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানাগুলোকে লক্ষ্য করে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তুরস্ক অপারেশন ক্ল-লক চালু করেছিল। এর আগে ২০২০ সালে ক্ল-টাইগার এবং ক্ল-ঈগল নামের দুটি সামরিক অভিযান শুরু করেছিল তুরস্ক। ইরাকের উত্তরে লুকিয়ে থাকা এবং তুরস্কে আন্তঃসীমান্ত হামলার পরিকল্পনাকারী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কুর্দি সংগঠন পিকেকের যোদ্ধারা। তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সংগঠনটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি