জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের আবেদনকে অন্তর্ভুক্তির জন্য নিয়োজিত কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাল্টা। জাতিসংঘে মাল্টার রাষ্ট্রদূত ভেনেসা ফ্রাজিয়ার জানান, কমিটি সোমবার রাতে (৮ এপ্রিল) আলোচনায় বসবে এবং এই মাসের মধ্যেই বিষয়টির সুরাহা হতে হবে। খবর রয়টার্সের।
কমিটির বৈঠকের পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর জানান, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে আমরা ১২ বছর পার করেছি।আশা করি আমাদেরকে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যার দ্বিজাতিভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে বৈশ্বিক ঐক্যমতের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে জাতিসংঘ।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে ২০১১ সালে করা আবেদনটি আমলে নিতে নিরাপত্তা পরিষদকে অনুরোধ করে। এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র না হলেও পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দিয়ে গড়া কমিটি প্রথমে যাচাই করে একটি দেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার যোগ্য কিনা। আবেদনকে বাতিল করা বা ভোটের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানোই তাদের কাজ। আবেদন গৃহীত হওয়ার জন্য নয়টি ভোটের প্রয়োজন, তবে স্থায়ী সদস্যের কেউ যদি ভেটো দেয় তবে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
সোমবার ফিলিস্তিনের আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
রয়টার্সকে মানসুর বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আমাদের পূর্ণ সদস্য হওয়ার বিষয়টিকে তোলা।
সোমবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাদ এরদান পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে বলে সতর্ক করেছেন।