ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

বার্বাডোস ও জ্যামাইকার পর তৃতীয় ক্যারিবিয়ান দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্র। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির পররাষ্ট্র ও ক্যারিকম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপের কথা জানায়। খবর মিডলইস্টমনিটর।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ, নৈতিক ও ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার প্রতি স্বীকৃতি ও সমর্থন জানিয়ে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলার পর ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পররাষ্ট্র ও ক্যারিকম বিষয়ক মন্ত্রী সিনেটর ড. আমেরি ব্রাউন তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি গাজা ও ইসরায়েলে বেসামরিক হত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, বেসামরিক জান-মাল রক্ষার প্রতি যত্নবান হওয়া, সংলাপ ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রজাতন্ত্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

একই সঙ্গে যেসব রাষ্ট্র এখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি, তাদেরকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে এবং স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের প্রশংসা করে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে সমর্থন করে এসেছে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্বীকৃতির ব্যাপারে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।