ফিলিস্তিনিদের দমনের জন্য নতুন বাহিনী গঠন করছে ইসরায়েল

জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুন একটি ‘ন্যাশনাল গার্ড’ বাহিনী গঠন করছে ইসরায়েল। রোববার (২ এপ্রিল) এই বাহিনী গঠনের প্রস্তাবের ওপর দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হয়েছে এবং এই বাহিনী গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন মন্ত্রীরা।

ইসরায়েলের দৈনিক হারেৎজ জানায়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বেন গভিরের কট্টরপন্থি দল ওৎজমা ইয়েহুদিৎ ইতিমধ্যে বিচারবিভাগের বিতর্কিত সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এর বিনিময়ে নতুন এই ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠার সবুজ সংকেত দেয়া হবে।

নতুন এই বাহিনী ইসরায়েলের কট্টরপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

যদিও এরইমধ্যে ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে, এর ফলে একটি ‘প্রাইভেট সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি হবে।’

এছাড়া গত বুধবার এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর রাজধানী তেলআবিবে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশটির একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান নোয়া সাত্তাত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য এই বাহিনী ব্যবহার করা হবে।

এমনকি ইসরায়েলের পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেটও এই ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে বলে জানিয়েছে দৈনিক হারেৎজ।

তবে কট্টরপন্থি বেন গভির যুক্তি, অরাজকতা মোকাবিলার জন্য এমন বাহিনী দরকার।