ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কার ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের মধ্যে পড়ে নাঃ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কারের বিষয়টি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তেল আবিব সফরের প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক এ মন্তব্য করেন।

তিনি গাজা ও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের জন্য নিরাপদ করিডোর তৈরির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ১৪ লাখ লোকের বাসস্থান এই রাফাহকে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্তমান টার্গেট বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের জনবহুল এলাকায় হামলায় চালাতে হলে অবশ্যই সেই এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য করিডোর নির্মাণ জরুরি বলে জানান তিনি।

চার মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। এ সময়ে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা বারবারই ফিলিস্তিনিদেরকে গাজা থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় কোণঠাসা করার পর এখন তাদেরকে মিশরীয় সীমান্তের কাছে রাফাহতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন সেখানেই আবার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার আক্রমণের অর্থ রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মিশরে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা, কারণ গাজায় তাদের জন্য আর কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে ইসরায়েল অধিকৃত বিভিন্ন স্থানে জীবন দিন দিন আরও কঠিন হয়ে ওঠছে মন্তব্য করে বেয়ারবক আরও বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখন জরুরি ভিত্তিতে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা কেবল দুই রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। শুধু সামরিক উপায়ে এ সংঘাতের সমাধান করা যাবে না।

গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক অন্তর্বর্তী রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। তবে এ পর্যন্ত ইসরায়েল সেটি উপেক্ষা করেই চলছে।