ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ২৬ মে, রোববার নরওয়ে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কূটনৈতিক কাগজপত্র হস্তান্তর করেছে। এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ ছিল যা ইসরায়েলকে প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।
রোববার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড, ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফার কাছে কাগজপত্র হস্তান্তর করেন।
২৭ মে, সোমবার ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জোগাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইইউ এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুস্তফা।
এর আগে ২২ মে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। তারা জানিয়েছিল, রাষ্ট্র হিসাবে ফিলিস্তিনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ২৮ মে, ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে।
ইউরোপীয় এই তিন দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপটি ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাকে নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। এই অঞ্চলগুলো এখনও ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে ইইউ জোটের ২৭টি দেশের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ে সাহসী এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ৩টি দেশই ইইউর অন্তর্ভূক্ত।
সূত্র: দ্য নিউ আরব