ফের ইসরায়েলি সেনাদের গুলি, ৫ ফিলিস্তিনি নিহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি সেনাতে গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। নিহতরা হামাসের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি ইসরায়েলের।

৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার এই রক্তপাত নতুন করে এ অঞ্চলের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। খবর আরব নিউজ।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই সহিংসতাকে একটি অপরাধ বলে অভিহিত করেছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীকে পশ্চিম তীরে অনুপ্রবেশ বন্ধে চাপ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ওই অঞ্চলে অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল; একটি ‘জঙ্গি সেলকে’ ধরা। যারা কিনা পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতির একটি রেস্তোরাঁয় গুলি চালিয়েছিল।

ইসরায়েলের উগ্রডানপন্থীরা নতুন করে দেশটিতে সরকার গঠনের পর থেকে পশ্চিম তীরে এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সোমবারের ঘটনা নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পশ্চিম তীরের আকাবাত জাবর শরণার্থী শিবিরে কাজ করার সময় গেল মাসে একটি রেস্তোরাঁয় গুলি চালিয়েছিল হামাস সমর্থিত গোষ্ঠী। সন্দেহভাজনদের ধরতে, সেখানে তারা অভিযান চালায়।

সামরিক বাহিনীর দাবি, গুলির ঘটনায় জড়িতরা শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়ির ভিতরে রয়েছে; ‘জঙ্গি সেলের’ এমন সন্ধানে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় বন্দুকধারীদের মুখোমুখি হয় ইসরায়েলি সেনারা; এতে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রেস্টুরেন্টে হামলায় জড়িত ছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

জেরিকো এবং জর্ডান উপত্যকার গভর্নর জিহাদ আবু আল-আসাল বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও বন্দুকধারীদের মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

হামাস জানিয়েছে, নিহত পাঁচজনের সবাই তাদের সশস্ত্র শাখার সদস্য। এ সহিংসতার জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জনগণ তাদের এই অপরাধের জবাব দিতে দেরি করবে না।’