ফোন ট্র্যাকিং বন্ধের ৩ উপায়

পয়গাম ডেস্ক: আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২২

সারাদিনে কাজ, ব্যবসা-সম্পর্কিত কিংবা ব্যক্তিগত নানা কারণে আমরা ফোনের ব্যবহার করে থাকি। তবে ফোনে আমাদের সারাদিনের কর্মকাণ্ড যে সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না, সেটা সব সময় বোঝা যায় না।

ফোন ট্র্যাকিং অনেক অপ্রত্যাশিত উপায়ে হতে পারে। আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসটিতে কারও প্রবেশের অধিকার থাকলে সহজেই সেই ব্যক্তি আপনার ফোনে লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচারটি সক্রিয় করতে পারবে। আর অন্য কোনো ব্যক্তি ট্র্যাকিং চালু করেছেন কি না সেটা ডিভাইসের মালিক বুঝতেও পারবেন না। এতে করে অনেক অ্যাপ এবং ফোন অপারেটিং সিস্টেমের লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এর বাইরে অনেক অ্যাপ এবং ফোন পরিষেবাতে রয়েছে বিল্ট-ইন ট্র্যাকিং ফিচার। এই ফিচারগুলো কখনো কখনো বেশ কাজের এবং প্রয়োজনীয়। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড তার ব্যবহারকারীদের বর্তমান অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে কাছাকাছি এলাকাগুলো সম্পর্কে তথ্য দেখায়। যেন তারা সেই এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই জানেন না, বিভিন্ন অ্যাপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ট্র্যাক করে থাকে।

অনেকে ফোন ট্র্যাকিংয়ের কিছু লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ তারা লক্ষ্য করতে পারেন, ডিভাইসটি ধীর হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মক্ষমতায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন দেখা যায়। তবে ট্র্যাকিং করা হলে তা সব সময় এত সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে, আপনি বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন: *#61# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না তা জানাবে। একইভাবে *#62# ডায়াল করে আপনি দেখতে পারবেন যে, কোনো ডাইভারশন সফ্টওয়্যার বিভিন্ন কল এবং টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কিনা।

ফ্লাইট মোড চালু এবং জিপিএস লোকেশন সেটিংস নিষ্ক্রিয় করা

অপারেটিং সিস্টেম সেটিংসের দিকে মনোযোগ দিন

গোপনীয়তা-কেন্দ্রিক ব্রাউজার নির্বাচন করুন

ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ গুগল ক্রোমকে তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখে। তবে অনেকে বুঝতে পারে না যে এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপ ট্র্যাক করে থাকে। কিন্তু আপনি চাইলে বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গুগলের ট্র্যাকিং ফিচারগুলো বন্ধ করতে পারবেন।

ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে প্রথমে উপরের ৩টি পরামর্শের দিকে নজর দিতে পারেন। তবে এগুলোর পাশাপাশি কীভাবে এবং কখন ট্র্যাক করা হয় সে সম্পর্কে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। উদাহরণ স্বরূপ, কর্মস্থল থেকে কোনো ডিভাইস প্রদানের পূর্বে চুক্তিপত্র বা অনুরূপ নথিগুলো ভালো করে লক্ষ্য করুন। সেখানে আপনার বস আপনার ফোনের কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন কি না তা উল্লেখ থাকতে পারে। 

এ ছাড়া যেসব অ্যাপ আপনি ব্যবহার করেন সেগুলো ডাউনলোডের আগে তাদের পরিষেবার শর্তাবলির দিকে মনোযোগ দিন। অ্যাপ আপনার থেকে কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং কেন সংগ্রহ করবে তা ভালোমতো দেখে নিন। সেখানে উল্লেখ থাকতে পারে সেটি আপনাকে ট্র্যাক করবে কি না। তাই কোনো অ্যাপ ইনস্টলের আগে এ সম্পর্কে ভালো করে যাচাই করে নেওয়া উত্তম। 

তথ্যসূত্র: এমওইউ