বগুড়ায় বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বগুড়ায় বাস চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা এক নারী ও শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন অটো রিকশাচালক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কদমতলী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে হযরত আলী (৩৫) ও যাত্রী ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি সর্দার পাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া (৬৫)। নিহত অপর তিনজনের মধ্যে একজন নারী, একজন শিশু ও একজন পুরুষ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চারজন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে সুজাবাদ এলাকায় মহাসড়ক থেকে বাগবাড়ি সড়কে অটোরিকশাটি পার হচ্ছিল। এমন সময় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারীসহ তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশা চালক হযরত আলী মারা যান।

হযরত আলীর ফুফু মর্জিনা বেওয়া বলেন, ‘রাস্তা থেকেই লাশ গ্রামের বাড়ি কদমতলী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ 

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আট বছর বয়সী এক কন্যা শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করালে সেও মারা যায়। 

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে যায় এবং যাত্রীরা যে যার মত বাস থেকে নেমে যান। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। 

শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, পুলিশ হেফাজতে তিনজনের মরদেহ আছে। অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।