ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে এবার মালয়েশিয়ায় বয়কটের মুখে পড়েছে মার্কিন ফার্স্টফুড চেইন কেএফসি। বয়কটের তীব্রতায় দেশটিতে কেএফসির কার্যক্রম প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। খবর মিডলইস্টমনিটর ও আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, এরইমধ্যে মালয়েশিয়ায় কেএফসির বেশিরভাগ আউটলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে সাময়িকভাবে এসব আউটলেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে, গাজায় নৃশংস হামলা চালানো ইসরায়েলের সঙ্গে কেএফসির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে-এমন অভিযোগ উঠার পর কেএফসিকে বয়কট করা শুরু করেন দেশটির সাধারণ মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বয়কট আরও তীব্র হচ্ছে। ফলে গ্রাহক স্বল্পতার কারণে বাধ্য হয়ে এই ফাস্টফুড চেইনের আউটলেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এশিয়ার অন্যতম মুসলিমপ্রধান দেশ মালয়েশিয়া সবসময়ই ফিলিস্তিনপী হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। যে কোনো ইস্যুতে ঐতিহাসিকভাবেই মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গাজায় হামলা শুরুর পর ইসরায়েলসহ তাদের সহযোগী পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো মালয়েশিয়ায় বর্জনের মুখে পড়ে।
মালয়েশিয়ায় কেএফসির আউটলেটগুলো পরিচালনাকারী কিউএসবি ব্র্যান্ডস (এম) হোল্ডিংস বিএইচডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে আমাদের আউটলেটগুলো অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বয়কট ইস্যুতে তারা কোনো মন্তব্য করেনি এবং কী পরিমাণ আউটলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, তারা এ পর্যন্ত ১০৮টি আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেএফসির পাশপাশি পিৎজা হাটের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পরিচালনা করে থাকে কিউএসবি ব্র্যান্ডস (এম) হোল্ডিংস বিএইচডি। এর আগে ইসরায়েলকে সমর্থনের কারণ বিশ্বব্যাপী মুসলিম দেশগুলোতে ম্যাকডোনাল্ড, স্টারবাকসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড বয়কটের মুখে পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় এ বয়কটের মাত্রা এত তীব্রতর হয়েছিল যে, বয়কটের মুখে পড়া কোম্পানিগুলো বয়কট আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।