পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট ও সার্বিক নিয়ন্ত্রণের যে অবক্ষয় প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে তা ওই সময়ের মতোই। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
আদিয়ালা কারাগারে তোশাখানা মামলার শুনানির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপকালে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এসব কথা বলেন। তিনি সে সময় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তার বিরুদ্ধে করা মামলা, বর্তমান সরকার, সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবুর রহমানের পাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতা ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতার অবসান ঘটাতে পারত। কিন্তু সে ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছিল, যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা (মুক্তিযুদ্ধ) ঘটে। বর্তমানেও পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট চুরি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ইমরান।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা কলঙ্কিত হয়েছিল তখনই, যখন তারা চোরদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অপশনটি বেছে নেয়। তার বিরুদ্ধে করা তোশাখানা মামলায় প্রচুর ভুল তথ্য যুক্ত করার অভিযোগ করে তিনি দাবি করেন, সে সময় ফাওয়াদ চৌধুরীকে সাক্ষী হতে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে তাকে বিভিন্ন মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এখনও যদি পারভেজ এলাহি ও শাহ মাহমুদ কুরেশি তেমন একটি প্রেস কনফারেন্স করেন, তাহলে তাদের সমস্ত মামলাও উধাও হয়ে যাবে।
দেশের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পাকিস্তানে একজন বাদশাহ আছেন। তিনি বসে আছেন। শাহবাজ শরীফ ফিতা কাটছেন, কিন্তু তার হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। দেশের অর্থনীতি ডুবে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিচারকরা বলছেন, বিভিন্ন প্রভাবশালী সংস্থা তাদের হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে ঘোর অনাচার চলছে। একপর্যায়ে তিনি মন্তব্য করেন, দাসত্বের চেয়ে মৃত্যুই আমার কাছে পছন্দনীয়।