বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পল্লীতে বিয়ে বাড়িতে নৃত্য পরিবেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এরইমধ্যে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার পাঁচ ধর্ষক আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসির মোল্লা (১৯) ও করিম (২২)।
তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে। এদিকে, ধর্ষণের শিকার নৃত্যশিল্পীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, বাগেরহাটের ১৯ বছর বয়সী নৃত্যশিল্পী (আসমা খাতুন জান্নাতী) বর্তমানে জেলার ফকিরহাট উপজেলা সদরে স্বামী জাহিদ মোল্লা ও দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নৃত্যশিল্পী ফকিরহাট থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে ধর্ষক হৃদয়ের বোনের বিয়ে অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে যায়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন শেষে রাত ১২টার দিকে ধর্ষকরা নৃত্যশিল্পীকে ফকিরহাটে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে তার স্বামী ও নৃত্যশিল্পীকে আলাদা-আলাদা মোটরসাইকেলে তুলে রওনা দেয়। পথিমধ্যে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম সানার পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে ৮ ধর্ষক মিলে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষন করে।
তিনি আরও জানান, পরে তারা ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে মোটরসাইকেল যোগে এগিয়ে দিতে থাকলে টহল পুলিশ তাদের থামতে বলে। এসময়ে নৃত্যশিল্পী ধর্ষণের বিষয়টি জানালে চার ধর্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর আজ সকালে নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় ৮ ধর্ষকের নামে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আরও এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পাঁচ ধর্ষককে বিকেলে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।