বাজারে সংকট তৈরি করে তেল-চিনির দাম বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা

বাজারে যখন সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট ঠিক সেই সময়েই কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে ভোজ্যতেল আমদানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমন্বয় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১ নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে দুই দফায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়। দাম সমন্বয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন একমত পোষণ করে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া ভোজ্যতেলের নতুন দাম প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা; ৫ লিটারের বোতলের দাম ৯২৫ টাকা; লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা এবং পাম তেল ১২১ টাকা।  

এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে উধাও চিনি। সারা বাজার ঘুরে হদিস মিলছে না পণ্যটির। অন্যসময় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের গুদামগুলো চিনির বস্তায় পরিপূর্ণ থাকলেও এখন সেই চিরচেনা চিত্র নেই। বাজারে নেই চিনি। অনেক খোঁজার পর কিছু কিছু দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাজারে চিনি সংকটের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, বাজারে অনেকদিন ধরে চিনি নেই। এখন নেই দেখে আমরা বিক্রি করছি না। চিনি এলে আবার বিক্রি করব।

কারওয়ান বাজারের খুচরা পর্যায়ে কেন চিনি নেই? এ প্রশ্নের জবাবে পাইকারি ব্যবসায়ী ও ডিলাররা অভিযোগ করেছিলেন, মিল থেকে দিচ্ছে না। তবে দাম বাড়ালে সরবরাহ মিলবে বলে আশ্বাস পাচ্ছেন তারা।

বাজারে যখন চিনি সোনার হরিণ, সে সময়ে ভোজ্যতেলের পাশাপাশি চিনির দাম ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম অনুসারে, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে চিনির নতুন দাম কার্যকর হবে।

তেল ও চিনির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই দুটি পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্যই বাজারে চিনির সংকট সৃষ্টি করা হয়েছিল। সরবরাহ সংকট তৈরি করে তেল-চিনির দাম বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা।