বাজার গরম, ঘাম ঝরছে ক্রেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন বাংলা মাঘ মাস। চলছে শীতকাল, কিন্তু বাজারে ঢুকলেই বাজার করতে ক্রেতার ঝরছে ঘাম!
দুই-তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। এ সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৩০ টাকা ও ডিম ডজনে ১০-১৫ টাকা করে বেড়েছে। আর এ অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। 

আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ানবাজার, শনিরআখড়া, রামপুরা, বনশ্রী, বনানী, কাকলীসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ডিমের ডজন ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা দরে।

এদিকে কাওরানবাজারের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি  ৩০ টাকা আর গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। নতুন আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ব্রুকলি প্রতি পিস ৩০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৫০ টাকা,বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় আর শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে করোলা আরও বাড়তি দামে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি চলছে ১২০ টাকা এবং ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায় ও পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়া শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট টেংরা ৫০০, বড় টেংরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।