রমজান মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী রেশ এখনো বাজারে রয়ে গেছে। রোজার দুসপ্তাহ পেরিয়ে চাহিদা কমলেও বাড়তি দামেই চলছে রোজার বাজার। এতে, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেতারা।
অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি- রোজার চালানে বাড়তি দামে কেনা পণ্য কমে বিক্রির সুযোগ নেই। এছাড়া- চাহিদা কমে গেলে বাজারে সরবরাহও কমে যায়।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- মাছ-মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার:
প্রতিকেজি তেঁলাপিয়া মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা, ছোট ট্যাংরা ৫৬০ টাকা, কাতল ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙাস ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজার:
প্রতিকেজি টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, সঁজন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস-ডিম:
ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোঁনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ফার্মের মুরগির লাল ডিম একটি ১১ টাকা, হালি ৪৫ টাকা, ডজন ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্য:
নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিকেজি দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, বড় রসুনের ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ছোট রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লবণ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।