রাজধানীর কদমতলী থালার পূর্ব জুরাইন এলাকায় এক বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ২ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে কিশোর গ্যাং চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলেন আল আমিন (১৯), মো. মুজাহিদ হোসেন ওরফে রনি (১৮), মো. আব্দুর রহমান (২৩), মো. মেহেদী হাসান ওরফে হৃদয় (১৮), মো. আহাদুর রহমান ওরফে জয় (১৮) এবং মো. তানজিন হোসেন (১৮)।
সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল জানান, পূর্ব জুরাইন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন সাজেদা বেগম (৪৫)।বাড়ির ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বিকেলে কিশোর গ্যাংয়ের ১৩-১৪ জন সদস্য সাজেদার বাড়ি গিয়ে নগদ দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা এবং অস্বীকৃতি জানালে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সাজেদাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল রাতে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আবারও সাজেদার বাসায় এসে তাদের দাবিকৃত চাঁদার জন্য চাপ দেয়। একই সঙ্গে সাজেদা ও তার বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তিনি আরও জানান, এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন সাজেদা। পরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সাজেদাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনা জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি দল ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় জুরাইনে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যরা সাজেদা বেগমের কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শনের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া তারা বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছিল।