বার হজের খুতবা দেবেন শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি

চলতি বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন বাইতুল্লাহ শরিফের ইমাম শায়েখ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। আগামী ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে সমবেত হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নুমাইরা থেকে এ খুতবা দেবেন তিনি।

গত ২৭ মে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তার হজের খুতবা দেওয়ার বিষয়টিতে অনুমোদন দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদ। খবর সৌদি গেজেট।

মসজিদে হারামের খতিব হিসেবে শায়েখ মাহের হলেন হজের খুতবা দেওয়া তৃতীয় ইমাম। তার আগে ২০১৬ সালে মসজিদে হারামের প্রধান খতিব শায়েখ ডক্টর আবদুর রহমান আস-সুদাইস এবং ২০২১ সালে মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলা হজের খুতবা প্রদান করেন।

চমৎকার কোরআন তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি ১৯৬৯ সালের ৭ নভেম্বর মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৪ সালে মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদ থেকে মাস্টার্স এবং ২০১২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। এছাড়া তিনি উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সহকারী পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।

২০০৫-০৬ সালের রমজানে মদিনার মসজিদে নববিতে সহকারী ইমামের দায়িত্ব লাভ করেন শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। পরের বছর ২০০৭ সালের রমজানে তিনি মসজিদে হারামের তারাবি ও তাহাজ্জুদের ইমাম মনোনীত হন। সে বছরই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদে হারামের স্থায়ী ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে ৫৪ বছর বয়সী বিখ্যাত এই আলেম পবিত্র কাবার ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি সবসময় সহজ ভাষায় এবং হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে খুতবা দিয়ে থাকেন। তার চমৎকার উচ্চারণের অনবদ্য কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ কোরআনপ্রেমীরা। অমায়িক ব্যবহারের জন্য তিনি সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।

পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। এর এ হজের একটি আবশ্যকীয় বিধান হচ্ছে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিরা সেখানে অবস্থান করেন। সৌদির স্থানীয় সময় আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হাজিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেবেন শায়েখ ডক্টর মাহের আল মুয়াইকিলি। খুতবা শেষে তারা একসঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন।