ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের শিলংয়ের জজ আদালত থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওই সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি নম্বর সড়কে ৪৯-বি নম্বর বাড়ির, ২-বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর ভারতে তাকে উদ্ধার করে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ২৬ অক্টোবর নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।