![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2022/12/bgb-20210206152333.png)
পয়গাম ডেস্ক : আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর নাম বদলে প্রতিষ্ঠা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এ নাম বদলের এক যুগ পার হচ্ছে আজ ২০ ডিসেম্বর। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের পর ২০১০ সালের এ দিনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাম নিয়ে এ বাহিনী নতুনভাবে পথ চলা শুরু করে।
দিনটি উপলক্ষে বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
১৭৯৫ সালের ২৯ জুন রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে যাত্রা শুরু হয় এ বাহিনীর। বিজিবি হিসেবে নামকরণের আগে দীর্ঘ ৪০ বছর এ বাহিনীর নাম ছিল বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের পর সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাম পরিবর্তনসহ বাহিনীকে বিভিন্ন পর্যায়ে পুনর্গঠন করা হয়। নানা দিক থেকেই বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো হয়।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার পর বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তনসহ ব্যাপক সংস্কার আনা হয়। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর নতুন নামে এ বাহিনী যাত্রা শুরু করে। তবে ২০১৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন শুরু করে বিজিবি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা। অনেকেই নির্যাতিত হন বিদ্রোহী সদস্যদের হাতে।
আজ ২০ ডিসেম্বর (২০২২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী ফজরের নামাজের পর পিলখানার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ডিজির সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন এবং সীমান্ত গৌরবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সকাল ১০টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবসের আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ, বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবি সদস্যদের পদক প্রদান এবং পরে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার নেবেন।
বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে পিলখানা ছাড়াও ঢাকার বাহিরে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া, প্রীতিভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।