ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণসহ সার্বিক বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির সঙ্গে বৈঠক করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ও হামাসের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও আরব নিউজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সূত্রগুলো জানায়, গত সপ্তাহে হুথি প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন হামাস, ইসলামিক জিহাদসহ ফিলিস্তিনের আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে তারা গাজায় চলমান যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে নিজেদের কর্মকাণ্ড সমন্বিত উপায়ে পরিচালিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া রাফাহতে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, কোনো পক্ষই তা উল্লেখ করেনি।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদ সূত্র বলেছে, বৈঠকে হুথিরা নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে সমর্থন করে তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে আক্রমণ চালিয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, লোহিতসাগর এড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়েও যেসব জাহাজ ইসরায়েল অভিমুখে যাবে, সেগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানাবে তারা।
মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও হুথি সম্মিলিতভাবে ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ নামে পরিচিত। এ অক্ষে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইরাকের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও রয়েছে। ইরানের অর্থায়ন ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই অক্ষটি পরিচালিত হয় বলে দাবি করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্ব।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করার কয়েকদিন পরই হুথিদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, তারা এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী ও ইসরায়েলের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাবে। এরপর থেকে তারা বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলা চালায়। ফলে অনেক জাহাজই এখন লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে।