বিশাল সাগরের মাঝে কওমী মাদরাসাগুলো একেকটা দ্বীপ 

শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

১০ নভেম্বর ২২ ঈ. বৃহস্পতিবার, বেলা ৩ ঘটিকা জামিয়া আরজাবাদ প্রাঙ্গণে ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া বৃহত্তর মিরপুর- এর চেয়ারম্যান মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও মাওলানা নূর মুহাম্মাদ কাসেমীর সঞ্চালনায় ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৪র্থ ও ৫ ম মারকাযী ইমতিহানে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ৪৫৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে  পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জলসায় ইত্তেফাকভুক্ত সকল মাদরাসার মুহতামিম ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, যে শিক্ষার দ্বারা জীবন উত্তম পন্থায় গঠন করা যায়, সেই শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। যে শিক্ষা মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়, সেটাই আসল শিক্ষা।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকটা অঞ্চলে  ইত্তেফাকের মতো ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কাজ করা দরকার। তিনি আরো বলেন, বিশাল সাগরের মাঝে কওমী মাদ্রাসাগুলো একেকটা দ্বীপ। এক দ্বীপের সাথে আরেক দ্বীপের সম্পর্ক রাখতে হবে, আর না হয় সাইক্লোনে দ্বীপগুলো পানিতে ভেসে যাবে। 

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ- এর সহ সভাপতি, ইত্তেফাকের সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার দিয়ে একধরণের আনন্দ উপভোগ করি । যারা বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুরষ্কার পাচ্ছে তারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারবে বলে আমি মনে করি। 

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এই পুরষ্কার পেয়ে পুরষ্কৃতরা যাতে মনে না করে এটাই আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন। সর্বোচ্চ অর্জন তখনই হবে যখন ইলমে দ্বীন শিক্ষা করে দেশ ও উম্মতের খেদমত করতে সক্ষম হবে, তখনই মনে করবে এটা আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন। মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, বৃহত্তর মিরপুরে প্রায় তিনশোর অধিক মাদরাসা রয়েছে। আমরা ইত্তেফাকের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ একটি প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি। তিনি বলেন, মিরপুরে যতগুলো মাদরাসা আছে সকল মাদরাসার পরস্পরের সু-সম্পর্ক, সুহৃর্দপূর্ণ পরিবেশে আমরা একে অপরের সুখে দুঃখে পাশে থাকি। তিনি আরো বলেন, কখনো ফেরাকে বাতেলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পূর্বের ন্যায় মিরপুরের উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ ভাবে তা দমন করবে।

সর্বশেষ মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া শিক্ষার্থীদের সামনে তিনটি উপদেশ উপস্থাপন করেন-

এক-দ্বীন শিক্ষা করা। 

দুই- দ্বীনের উপর আমল করা।

তিন- দ্বীনের দাওয়াত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। 

জলসায় আরো আলোচনা করেছেন: নাযেমে ইমতিহান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস,  সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম,  সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা সাইফুজ্জামান, মাওলানা শফিকুল ইসলাম,  মুফতি ইমরান কাসেমী, মুফতি আবু হানিফা, মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা তাওহীদ, মাওলানা মাসউদ প্রমূখ।