বি-বাড়িয়ায় ও খাগড়াছড়িতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ

সরকার নির্ধারিত দামে ক্ষতি মুখোমুখি হতে হবে বলে অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বাজারে আগাম ঘোষণা ছাড়াই গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত দুই দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না। আর মঙ্গলবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়িতে মাংস বাজারে কোন ব্যবসায়ী না আসার পর বিষয়টি সবার নজরে আসে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানিয়েছে, সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামে মাংস বিক্রি করে না পোষানোর অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কোনো গরু জবাই করেনি। তাই মাংস বেচা বিক্রিও বন্ধ। অনেকে মাংস কিনতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরেছে।

আকস্মিকভাবে মাংস বাজার খালি থাকার বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

২৯ পণ্যের মাত্র তিনটি বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামে২৯ পণ্যের মাত্র তিনটি বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামে এ নিয়ে খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।’

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানায়, জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্তত ৩০০ দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ক্রেতাদের বলছে, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আর ব্যবসায়ীদের যুক্তি, খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ তাদের কিনতে হচ্ছে ৭২০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ৭৫০ টাকা দরে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, দাম পুনরায় বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখা হবে। তবে কেউ এই দামে বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয়া হবে না।

এ নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত যেন লাভজনক হয়, তা হিসেব করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা।

অন্যদিকে একই অজুহাতে ব্রয়লার মুরগির বিক্রিও বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, রমজানে ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত শুক্রবার ডাল, ডিম, মাংস, পেঁয়াজসহ ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই তা মানছে না।