ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে সুপ্রিম কোর্টে ধাওয়া

আইনজীবীদের ধাওয়া খেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আঙ্গিনা ছাড়লেন ঝালকাটি-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে বেঈমান, রাজাকার বলেও গালাগাল করেন। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। কিন্তু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ পাননি। পরে তিনি নিজ চেম্বারে চলে আসেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে শাহজাহান ওমর তার এক জুনিয়রকে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠান। তিনি তার চেম্বারে আমাকে বলেন সাক্ষাৎ করতে। আমি তার জুনিয়রকে বলে দেই, মোনাফেক, মীর জাফরের সঙ্গে আমি দেখা করতে যাবো না। আমি তার চেম্বারে দেখা করতে না যাওয়ায় শাহজাহান ওমর নিজেই আমার চেম্বারে চলে আসেন। তিনি এসেই আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য শুরু করেন। জানতে চান আমি কেন তাকে মোনাফেক-মীরজাফর বলেছি। আমি তাকে বলি, আপনি বেঈমান, মোনাফেক, মীরজাফর। এসময় সাধারণ আইনজীবীরা তাকে আমার চেম্বার থেকে ধাওয়া করেন। এ সময় কয়েকজন আইনজীবীকে সমস্বরে ‘ধর ধর’ আওয়াজ তুলতে দেখা যায়। চেম্বার থেকে বের হয়ে তিনি কফিশপের সামনে আশ্রয় নেন। তখন সাধারণ আইনজীবীরা তাকে ঘিরে তার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার আসামি হয়ে কিভাবে পুলিশ প্রটোকলে সুপ্রিম কোর্টে এলেন ? এই মোনাফেকের স্থান সুপ্রিম কোর্টে হবে না। এক পর্যায়ে শাহজান ওমর সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণ ত্যাগ করেন।
অবশ্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টে আসার কথা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর অস্বীকার করেন। যদিও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাহজাহান ওমর। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম. শাহজাহান ওমর।