ঈদ উপলক্ষে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে দুস্থ মানুষের খাদ্য সহায়তা চালু করেছে। ভিজিএফ নামে এ সহয়তায় শেরপুর সদর উপজেলায় ৭০ হাজার ৭৫৯ জন দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই চাল জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কালোবাজারিরা কম দামে কিনে বস্তা পাল্টে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়ন থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে ১৫ বস্তায় ৯০০ কেজি চাল শহরের নবীনগরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।ঘটনাটি স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর নজরে আসে।
তিনি শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্বর এলাকায় লোকজনকে ঘটনাটি জানান।
লোকজন ইজিবাইককে চ্যালেঞ্জ করলে সড়কের পাশে চাল ফেলে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে থাকা চাল জব্দ করেন। ওই সময় মেপে দেখা যায়, প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি করে দুস্থ মানুষের খাদ্য সহায়তার চাল রয়েছে। পরে বস্তা ভর্তি চাল সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত বলেন, চালগুলো খাদ্য সহায়তার সেটি নিশ্চিত হয়েছি। কালোবাজারিরা এ চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, এগুলো ভিজিএফ, ভিজিডি নাকি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল তা বোঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।