ভুল বোঝাবুঝি অনেকটা কেটে গেছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে হস্তক্ষেপ মনে হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র নেবে না বলে অঙ্গীকার করেছে ওয়াশিংটন, এমন দাবি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের। তিনি বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। বাংলাদেশের ওপর মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেন তিনি। রাজনৈতিকভাবে না হলেও আইনী পথে র‍্যাবের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে বলে আশা তার।

এলিট ফোর্স র‍্যাবের ওপর দু’বছর আগে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন এমন হার্ড লাইনে যাওয়ায় তখন থেকেই নতুন মোড় নেয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। তার পরের বছর ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার আওতা আর বাড়েনি। তবে চলতি বছরের গোটা সময় জুড়েই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের ঢাকা সফর বাড়তি মাত্রা যুক্ত করে।

বছর জুড়েই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে তৎপর ছিল মার্কিন দূতাবাস। জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি ঝড় তুলেছিল রাজনীতিতে।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি’র সাথে সংলাপ করতে ডোনাল্ড লু’র লেখা চিঠিও আমলে নেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এমন গুঞ্জন ছিল দেশ-বিদেশে। মানবাধিকার দিবস ঘিরে স্যাংশনের যে তালিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাতে নেই বাংলাদেশের কেউ।

এনিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেই পথ চিহ্নিত করতে পেরেছি। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রও এক্ষেত্রে প্রভাব কমিয়েছে। এক পর্যায়ে তারা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন নির্বাচন কালীন সময়ে প্রবেশ করেছে। হস্তক্ষেপ মনে হয়, এমন কোনো কথাই আর বলবেন না তারা।

বিশ্বব্যাপী শ্রম অধিকার রক্ষায় যে নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে উদাহরণ হিসেবে এসেছে বাংলাদেশ। ভোটের আগে পরে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ওয়াশিংটন, ডালমালা মিলেছে সেই গুঞ্জনও। যদিও এটাকে আমলেই নিতে নারাজ সরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এখানে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার জায়গা আছে, ব্যবসায় বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে। ব্যবসা কারোর দয়া-দাক্ষিণ্যের বিষয় নয়। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও অনেকটাই আশাবাদী শাহরিয়ার।