মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে ভুল করেছে যুক্তরাষ্ট্র!

মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে ভুল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে চলার ক্ষেত্রে কিছু ভুল নীতি অনুসরণ করেছে। তবে তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থেকেই যাবে। আরব নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন সৌদি রাজনৈতিক গবেষক সালমান আল-আনসারী।

তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ফেরার পূর্বাভাস দিয়েছেন। তার বক্তব্য মতে, মধ্যপ্রাচ্য একটি ‘শান্তির সুনামি‘ প্রত্যক্ষ করছে। ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন তার একটি দৃষ্টান্ত।

গবেষক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজর যখন চীনের ওপর কেন্দ্রীভূত, তখন চীন মধ্যপ্রাচ্যে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিজ তৎপরতা গুটিয়ে নিয়েছে অনেকটা।

ওই গবেষক বলছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই, মার্কিন প্রশাসন ২০০৩ সাল থেকে তার মধ্যপ্রাচ্য নীতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভুল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভুলের ক্ষেত্রে তিনি ইরাক আক্রমণ ও ওবামা মতবাদের কথা উল্লেখ করেন।

আনসারী বলেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় টার্গেট। কিছু আমেরিকান কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে আমরা ঐতিহাসিক সম্পর্কগুলোকে পেছনে ফেলে দিতে পারি না।

খবরে বলা হচ্ছে, গত বছরের জুলাইতে সৌদি আরব আয়োজিত জেদ্দা নিরাপত্তা ও উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি সক্রিয় অংশীদার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা দূরে সরে যাব না। চীন, রাশিয়া বা ইরানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কোনো ফাঁক রাখতে চাই না।

বাইডেনের ওই ভাষণের পর থেকে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মধ্যস্থতা করার কাজটি করেছে চীন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে বেইজিং।

আল-আনসারী বলেন, সৌদি আরব নিজেকে বৈশ্বিক সমতায় আনতে চাচ্ছে। দেশটি যে ভূমিকা গ্রহণ করেছে তা আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভালভাবে নাও নিতে পারে।