![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2023/12/20231230_223940-1024x576.jpg)
প্রাণবন্ত সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হলো আলিয়া মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশের মাসব্যাপী আবাসিক আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল দশটায় মারকাযের মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মারকাযের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকী। অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন মিরপুরস্থ মাদরাসা দারুর রাশাদের শিক্ষাসচিব ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সহসম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. যুবায়ের মুহাম্মদ এহসানুল হক ও আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ।
কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা সেমিনারে আরবি কবিতা, খুতবা ও কথপোকথন উপস্থাপন করে এবং কোর্স থেকে তাদের প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হয় এবং সকল প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদেরকেও প্রদান করা হয় সম্মাননা ক্রেস্ট।
সভাপতির বক্তব্যে শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, মারকাযুল লুগাহ আরবির খেদমতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। তবে এবারের আয়োজন ছিল একেবারেই ভিন্নধর্মী। এই আয়োজনে আলিয়া মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মারকাযের মনোরম ও আরবিময় পরিবেশে খুব সহজেই আরবি চর্চার সুযোগ পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে দুই শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের মাঝে চমৎকার যোগসূত্র এবং সমন্বয়মূলক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “এর মাধ্যমে মারকাযের আরবি ভাষাবিষয়ক মিশন ও ভিশন ব্যাপককরণে নতুন ধারা যুক্ত হয়েছে।”
![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2023/12/1703954585956-1024x813.jpeg)
অতিথিদের বক্তব্যে মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, “বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আরবি ভাষা শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় আধুনিক আরবি ভাষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি সময়ের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে মিডিয়া আরবি জানা লোকের খুব প্রয়োজন। আরবিতে দক্ষ লোক গণমাধ্যমে পর্যাপ্ত না-থাকায় সংবাদ সংগ্রহে আরবি গণমাধ্যমের পরিবর্তে ইংরেজি গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হচ্ছে, যার তথ্য ও প্রকাশশৈলী ইসলামপন্থী নয়। এটা আমাদের বড় সঙ্কট। এই সঙ্কট পূরণে মারকায ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।”
ড. যুবায়ের মুহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, “কোনো কিছু অর্জনের পেছনে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। আলহামদুলিল্লাহ, আরবি ভাষা অর্জনের জন্য যে সহযোগী পরিবেশ দরকার, মারকাযুল লুগায় তা পর্যাপ্ত রয়েছে। এদিক থেকে মারকায অনন্য। অন্যদিকে আলিয়া মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষা প্রশিক্ষণের মতো সময়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ আঞ্জাম দিয়ে মারকাযুল লুগাহ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
ড. মুহাম্মাদ ইউসুফ বলেন, “দেশে আরবি জানা লোকের সংখ্যা অনেক। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে পর্যাপ্ত চর্চা ও অনুশীলনের পরিবেশ না-থাকায় কথপোকথন ও যোগাযোগের আরবি জানা লোকের সংখ্যা খুবই কম। এক্ষেত্রে মারকাযুল লুগাহ চমৎকার নযির দেখিয়েছে। শুধু কথপোকথনই নয়, আরবির সার্বিক দক্ষতা অর্জনেও মারকায ভিন্নধর্মী নমুনা সৃষ্টি করে চলেছে। আজকের আয়োজন তারই একটি উদাহরণ।”
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর থেকে মারকাযের আয়োজনে উক্ত কোর্সটি শুরু হয়। কোর্সটিতে ঢাকা আলিয়া, তামিরুল মিল্লাত, দারুন নাজাতসহ বিভিন্ন আলিয়া মাদরাসা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে।