মারকাযুল লুগার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশে পবিত্র রমযানে পনেরো দিনব্যাপী আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত প্রায় তিনশ ছাত্র এই কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

ভাষার সবগুলো দক্ষতাসম্বলিত এই কোর্সে ছিল শ্রবন, কথন, পঠন ও লিখনদক্ষতার ওপর সমন্বিত প্রশিক্ষণ। কোর্সের পরিচালক শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, “আমাদের এই কোর্সগুলো এমনভাবে সাজানো, যেখানে একসঙ্গে ভাষার সবগুলো মৌলিক দক্ষতার ওপর নিবিড় প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং এর ভেতর দিয়ে আরবি ভাষার ব্যাপারে ছাত্রদের মনে জমে থাকা হীনমন্যতা দূর হয়। অল্প সময়ে তারা আরবি ভাষার ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়।”

এই কোর্সটির পাশাপাশি প্রতি বছরের মতো এবারও মারকাযের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে ২৫টির মতো প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন হয়েছে। এক সপ্তাহ, দশ দিন, পনেরো দিন বা বিশ দিনের মেয়াদে ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, মোমেনশাহী, বিবাড়িয়া, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, যশোর, জামালপুর, ভোলা, চট্টগ্রাম ও হবিগঞ্জে মারকাযের প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে কোর্সগুলো পরিচালিত হয় এবং সহস্রাধিক ছাত্র এতে অংশগ্রহণ করে।

মারকাযুল লুগার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়েখ মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, “আরবি ভাষা শিক্ষা ও পাঠদান পদ্ধতি যেন কার্যকরী এবং সুন্দর হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। প্রতি বছর আমাদের ছাত্ররা বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করছে। ইনশাআল্লাহ, পাঠদান পদ্ধতি সুন্দর ও যথাযথ হলে কুরআন ও সুন্নাহর এই ভাষা শেখার পথও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।”

উল্লেখ্য, ছাত্রদের পাশাপাশি আরবি ভাষার শিক্ষকদের জন্যও ইতোমধ্যে মারকাযের উদ্যোগে অনেকগুলো শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন হয়েছে এবং কয়েক সহস্রাধিক শিক্ষক সেগুলোতে অংশগ্রহণ করে  আত্মোন্নয়ন ও ছাত্রগঠন ও পাঠদান পদ্ধতির উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। 

এবিষয়ে শায়েখ ফারুকী বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকের মানোন্নয়ন করতে হবে। তাই ভাষা শেখানোর পথ ও পদ্ধতি শেখাতে মারকাযুল লুগাহ সমান গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।”