মার্কিন সেনা মোতায়েন চায় ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলের সদস্যরা

ন্যাটো সামরিক জোটের পূর্বাঞ্চলীয় সদস্যরা ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে। কারণ আগামী জুলাই মাসে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে একটি জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আল আরাবিয়া।

রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোগদান অরেস্কু বুখারেস্ট নাইন বা বি-৯ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, পূর্ব দিকে ইউক্রেন সীমান্ত অঞ্চলে সৈন্য ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে মার্কিন উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করতে হবে।

বুখারেস্ট নাইনভুক্ত দেশগুলো হলো- বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়া। দেশগুলোর মন্ত্রীরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পোলিশ শহর লজে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। অরেস্কু বলেন, আমাদের যদি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে, তাহলে রাশিয়ার অস্থিতিশীল এবং দৃঢ় আচরণের বিষয়ে আমরা শক্তিশালী প্রতিরোধ প্রকল্প গড়ে তুলতে সক্ষম হব। মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করলেই কেবল মস্কোর টনক নড়বে।

অরেস্কু বলেন, আমাদের অঞ্চলগুলোতে আরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা, আরও ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র দরকার। তাছাড়া দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নজরদারি, পুনরুদ্ধার তৎপরতা বৃদ্ধি এবং বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে উপায় বের করার আহ্বান জানান তিনি। দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেবিগনিউ রাউ বলেন, আমরা ইউক্রেনের মিত্রদেরকে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছি। যেমনটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বা ট্যাঙ্ক স্থানান্তরের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিক, আমরা সবাই তা সমর্থন করি।

রাউয়ের কথায় যোগ দেন অরেস্কু। তিনি বলেন, এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন করা। আগামী কয়েক মাস ইউক্রেন যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ন্যাটো বাহিনী বা মার্কিন সামরিক বাহিনী সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি। তবে ইউক্রেনে মারণাস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।