মুক্তি পেয়ে ইসরায়েলি কারাগারের নৃশংসতা জানালেন দুই ফিলিস্তিনি কিশোর

ইসরায়েলি কারাগারে অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনিদেরও শিকার হতে হয় নির্মম নির্যাতনের। বন্দীদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় একটি নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের পরে দেশটির বিরুদ্ধে কারাগারের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ তুললো সদ্য মুক্তি পাওয়া দুই ফিলিস্তিনি কিশোর। তাদের অভিযোগ, কারাগারে দেয়া হতো না খাবার-পানি। পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয় অনেকের মেরুদণ্ডের হাড়।

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন মাত্র পাঁচদিন। চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে আটক করা হয়েছিলো তাদের। এই ক’দিনের প্রতি মুহূর্তেই অবর্ণনীয় নির্যাতনের সাক্ষী হয়েছে এই দুই কিশোর। প্রতি মুহূর্তে দেখেছে অবর্ণনীয় নির্যাতনের দৃশ্য।

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার জন্য গাজার আল আকসা হাসপাতালে ছুটে আসে এই দুই ফিলিস্তিনি। এ সময় তাদের দেহের অধিকাংশ জায়গা জুড়েই দেখা যায় ইসরায়েলি বর্বরতার চিহ্ন।

বন্দি বিনিময়ের সময় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ছিলো অপ্রাপ্তবয়স্করাও। তারাও রেহাই পায়নি ইহুদি সেনাদের বর্বর আচরণ থেকে।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি কিশোর ইয়াজিদ আল আকাদ বলেন, বন্দিদেরকে কাচের ওপর হাঁটতে বাধ্য করা হয়। মারধর করা হয় নিয়মিত। এছাড়াও গায়ে ঠাণ্ডা পানি ছেড়ে দেয়া হতো আমাদের। জিজ্ঞাসাবাদের নামে চালানো হয়েছে নির্যাতন।

এছাড়াও আরেক কিশোর মোহাম্মদ সেলিম জানান, শরীরের ওপর ভারী পাথর রেখে দিতো ইসরায়েলি সৈন্যরা, যাতে নড়াচড়া করতে না পারি। পেটানো হতো বন্দুকের পেছনের অংশ দিয়ে। বাজেভাবে আগাত করা হতো মেরুদণ্ডে। ২৪ ঘণ্টাই কোন না কোনোভাবে চলে এমন নির্যাতন। পাঁচদিন পর্যন্ত দেয়া হয়নি পানি, মেরেছে জুতো দিয়েও।

বছরের পর বছর ইসরায়েলিদের এমন ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। হামাসের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরাও এবার আনলেন এমন নৃশংস নির্যাতনের অভিযোগ।

এর আগে, ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পরও গ্রেফতার করা হয় অনেককে। ধারণা করা হয়, প্রায় দশ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে তেল আবিবের কারাগারে, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু।