মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

—আমিরুল হিন্দ সাইয়েদ আরশাদ মাদানি দা. বা.

নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল (৩০ নভেম্বর) ঝিলপিয়াও আইটিও-তে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ দিল্লি ও হরিয়ানা প্রদেশের জেলা সভাপতি, সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক দিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আমিরুল হিন্দ সাইয়েদ আরশাদ মাদানি দা. বা. স্পষ্ট করে বলেন— জমিয়ত কখনোই আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, কেবল এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।

তিনি বলেন, আমাদের আকাবিরের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত নীতি থেকে সরে যাওয়াটা আমরা দলের জন্য ভালো মনে করি না। মাওলানা মাদানি জোর দিয়ে বলেন— আমাদের আকাবিরও আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে ছিলেন না। তারা সকলে যদিও আলেম ও ইলমে নববিতে দক্ষ ছিলেন, তথাপি তারা আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। ইংরেজদের অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তারা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।

ভারতজুড়ে মুসলিম তরুণীদের হিন্দু তরুণদের বিয়ের ঘটনাবলি সামনে রেখে মাওলানা মাদানি বলেন— এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। গভীর ও সুপরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক নীলনকশা এর পেছনে রয়েছে। লাভজিহাদসহ নানা প্রোপাগান্ডার ফলে এসব ঘটছে। তিনি হিন্দু ও মুসলিম ছেলে-মেয়েদের জন্য পৃথক সুরক্ষিত আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি জোর দেন।

তিনি বলেন— দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে
মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল এখনও একমত যে, মুসলমানদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করাও জরুরি।

প্রোগ্রামে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।