মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ এবং শায়খুল হিন্দ রহ, এর ‌ভাবনা

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২,১৪:০১

শায়খুল হিন্দ হযরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ,কে বলা হয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠনগুলোর রূপকার এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর জনক‌। 

হযরত শায়খুল হিন্দ রহ, ১৮৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২০ সালের ৩০ নভেম্বর ইন্তিকাল করেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ও শায়খুল হাদীস এবং সদরুল মুদাররিসিন ছিলেন।

ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি তাঁকে মাল্টার কারাগারে প্রায় চার বছর বন্দী করে রেখেছিল। 

মাল্টার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেওবন্দ আগমন করে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ” আমি মাল্টায় বন্দী থাকাকালীন সময়ে দুইটি বিষয়ে সবক শিখেছি।” 

এ কথা বলায় গোটা মজলিস শ্রবণের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। উপস্থিত সবাই ভাবছে- এই দরবেশ উস্তাযুল উলামা এতো বছর শিক্ষকতা করার পর জীবন সায়াহ্নে কোন সবক শিখলেন?

হযরত শায়খুল হিন্দ রহ, বললেন, আমি কারাগারে বন্দীকালীন সময়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, দুনিয়া এবং দ্বীনের সর্বক্ষেত্রেই মুসলমানদের অধঃপতনের কারণ হল দুইটি। 

এক, মুসলমানদের কুরআন ত্যাগ করা। 

দুই, মুসলমানদের পরস্পর মতবিরোধ ও গৃহবিবাদ।

আমি কারাগার থেকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছি যে, আমার জীবনের অবশিষ্টাংশ কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত ও এর তাফসীরকে ব্যাপক করার কাজে ব্যয় করব। শিশুদের কুরআন শিক্ষার জন্য প্রতিটি মহল্লায় মকতব প্রতীষ্ঠা করার চেষ্টা করা। বয়স্কদের মাঝে কুরআনের ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে স্বচেষ্ট হওয়া। কুরআনের শিক্ষা মোতাবেক আমলের করা এবং মুসলমানের পরষ্পরের মতবিরোধ ও গৃহবিবাদ যে কোনো ভাবেই কমিয়ে আনা।