মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট পেতে নতুন কৌশল বিজেপির

ভারতে এ বছরেই অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রাক্কালে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট পেতে নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। উত্তর প্রদেশে এমনিতেই কোণাঠাসা অবস্থায় থাকে মুসলমানরা। তবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় লোকসভা আসনগুলোতে মুসলমানদের ভোট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। সেটি মাথায় রেখে এখন থেকেই ভিন্ন কৌশল প্রণয়ন করে কাজ শুরু করছে ভারতের ক্ষমতাসীন দলটি। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বিজেপি সূত্র জানায়, মুসলমানদের লক্ষ্য করে চালানো বিশেষ এই প্রচারাভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কওমি চৌপাল’। সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা বিজেপির শাখা সংগঠন ‘সংখ্যালঘু মোর্চা’ এ কর্মসূচির আয়োজক। এর মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় চার হাজারের বেশি গ্রামে জনসংযোগ করা হবে। এতে অংশ নেবেন দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি কুনওয়ার বাসিত আলি জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি লোকসভা আসনকে কেন্দ্র করে ‘কওমি চৌপাল’ কর্মসূচি চলবে। এর মধ্যে রয়েছে সাহারানপুর, মুজাফফরনগর, কাইরানা, মিরাট, বাঘপাত, বুলান্দাশার, বিজনর, আমরোহা, রামপুর, বেরেলি, আগ্রা ও আলিগড়ের মতো উল্লেখযোগ্য এলাকা। মোর্চার নেতারা এসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে সরকারি প্রকল্পগুলোর কথা প্রচার করবেন। মুসলমানদের জন্য আরও কী কী করা যায়, তা নিয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের সমস্যাগুলোর ব্যাপারেও আলোচনা করবেন সংখ্যালঘু মোর্চার নেতারা।

কুনওয়ার বাসিত আলি বলেন, মুসলমানদের জন্য বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দলের সঙ্গে বেশি সংখ্যায় যুক্ত করাই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কিংবা মাদ্রাসার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সামনে রেখে এসব কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। কোয়ামি চৌপাল কর্মসূচির এলাকা নির্ধারণ করে মোর্চার নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ওই এলাকায় কমপক্ষে ১০ দিন অবস্থান করে এ কর্মসূচি সফল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ২৬টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ১৯টিতে জিতেছিল। বাকি আসনগুলো পেয়েছিল সমাজবাদী ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি। এবার আরও বেশি আসন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আগেভাগেই কাজ শুরু করেছে দলটি।