ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শাসনকারী ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে এই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৯ মার্চ, বৃহস্পতিবার লন্ডনভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেছেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম। খবর দ্য নিউ আরব
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরে কাসেম এই মন্তব্য করেছেন।
হামাসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইসরায়েলি অপরাধমূলক নীতির কারণে এই অঞ্চলে এখন বিস্ফোরন্মুখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
হাজেম কাসেম জানিয়েছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বৃদ্ধির মুখে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছে হামাস।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ইসরায়েলের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে হামাসের সশস্ত্র সংগঠন আল কাসসাম ব্রিগেডের ধৈর্য্য ফুরিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করলেই পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এজন্য এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করা হবে।
হাজেম কাসেম জোর দিয়ে বলেন, ‘গাজার সঙ্গে কোনো সংঘর্ষের ক্ষেত্রে ইসরায়েলি দখলদারকে উচ্চ মূল্য দিতে বাধ্য করা হবে। এটি ইসরায়েলি সরকার বা সেনাবাহিনী বহন করতে সক্ষম হবে না।’
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হামাসের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন অবস্থান সবসময় দখলদারদের পক্ষে ছিল এবং এখনও আছে। সুতরাং এই দেশটি একটি নির্ভরযোগ্য মধ্যস্থতাকারী হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টোর ডানপন্থী সরকার ইসরায়েলের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা ১৪ জন নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৭৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।