যে ১০ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ 

এবারের বাজেটে মোট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে জনপ্রশাসন খাত। এর পরপরই রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত। জনপ্রশাসন খাতে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের খাতভিত্তিক বরাদ্দে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট বিশ্লেষণ করে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরিচালন ও উন্নয়ন বরাদ্দের ভিত্তিতে মোট বাজেটে ২২ দশমিক ১ শতাংশ খরচ হবে জনপ্রশাসন খাতে। এ খাতে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে জনপ্রশাসন খাতের পরে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত। এ খাতে মোট বাজেটের ১৪ শতাংশ খরচ হবে এ খাতে, যেখানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

এরপর রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা এ খাতে বাজেটের ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা।

পরিবহন খাতের পর বাজেটের ৬ শতাংশের হিস্যা নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত। এ খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে কৃষি খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কৃষি খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

এর বাইরে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, প্রতিরক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মোট ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।

‘সুখী সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’ শীর্ষক এই বাজেটের আকার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। এবার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।

এটি দেশের ৫৩তম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। আগামী ৩০ জুন এ বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।