রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ, ভাড়া প্রায় ১০গুণ

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট :১০ ডিসেম্বর ২০২২

বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রাস্তায় গণপরিবহনের দেখা মিলছে না। যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় বলা চলে।

এমন পরিস্থিতিতে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। বাহন হিসেবে তাদের ভরসা এখন রাইড শেয়ার, রিকশা, সিএনজি।

আর এই সুযোগে এসব পরিবহনচালকরা ১০ গুণ ভাড়া হাঁকছেন। যাত্রীরা বলছেন, ২০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে এমন চিত্র দেখা যায়।  

এদিন দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সড়কে কিছু গণপরিবহন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক থেকে উধাও হয়েছে গণপরিবহন। এই সুযোগে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার চালকরা চাইছে বাড়তি ভাড়া। গণপরিবহন শূন্যতায় অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে।

রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান যাবেন হাতীরপুল। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন বাসের জন্য। চেষ্টাও করে ছিলেন রিকশায় যাওয়ার। কিন্তু রিকশাচালকরা চাইছে অতিরিক্ত ভাড়া।  

তিনি বলেন, রিকশাচালকরা ২০ টাকার ভাড়া চাইছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছি হাতীরপুল। ভাড়া দিতে হবে ২০০ টাকা।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ করবে ভালো কথা। গণপরিবহন কেন বন্ধ করা হলো? সাধারণ মানুষের কেন ভোগান্তিতে পড়বে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। বাড়তি ভাড়া দেবে না সরকার ও অফিস। প্রধানমন্ত্রী তো চায় না দেশের জনগণের ক্ষতি। তবে কেন এই হয়রানি?

মিরপুর ১২ নম্বর থেকে বেলাল হোসেন যাবেন গুলিস্তান। অপেক্ষা করেছেন প্রায় এক ঘণ্টা। মিরপুর থেকে পাননি কোনো গণপরিবহন। শেষে বাধ্য হয়ে যাচ্ছিলেন সিএনজি অটোরিকশায়।  

তিনি বলেন, ৪০ টাকার ভাড়া রিকশাচালকরা চাইছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পরে বাধ্য হয়েই যাচ্ছি সিএনজি অটোরিকশায়।

সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জাফর বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণপরিবহন বন্ধ না করলেও পারত। গণপরিবহনের অভাবে জনসাধারণ পড়েছে ভোগান্তিতে। দেশের মানুষকে এভাবে ভোগান্তিতে ফেলার কোন মানে হয় না। এই দেশটাতো শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দলের নয়, সাধারণ জনগণের।