রাজশাহীতে ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কর-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য (চলতি দায়িত্ব) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ।
রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ আবু দাউদ জানান, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সরকারি চাকরি বিধি ২০১৮ এর ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী ৪ এপ্রিল নিজ কার্যালয় থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে মুহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে রাজশাহী কর অঞ্চলের সার্কেল-১৩ (বৈতনিক) এর উপ-কর কমিশনার মুহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজশাহী মহানগরীর মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের পরই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মহিবুল ইসলাম ওই চিকিৎসকের পাঁচ বছরের ব্যাংকে লেনদেনের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গেলে তিনি ফাতেমার কাছে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ৫০ লাখ টাকায় রফা হয়। বিষয়টি জানিয়ে ফাতেমা সিদ্দিকা গত ২৯ মার্চ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ নিয়ে দুদকের রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে যৌথভাবে কাজ করছিল। তারা উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার ওপর নজরদারি করছিলেন।
গত মঙ্গলবার ঘুষের প্রথম কিস্তির ১০ লাখ টাকা নিয়ে ফাতেমা সিদ্দিকা কর ভবনে উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। কর কর্মকর্তা টাকা নিয়ে তাঁর ড্রয়ারে রেখেছিলেন। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ১০ লাখসহ মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। গত বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।