রাফাতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানে ‘শঙ্কিত’ জাতিসংঘ প্রধান

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের পরিণতি নিয়ে সতর্ক করেছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

গুতেরেস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০২৪ সালের অগ্রাধিকার সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। সে সময় তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর রাফাতে পরবর্তী যুদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই অঞ্চলে এখন নিরাপত্তার সন্ধানে মরিয়া কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে।’

৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, গাজায় সেনাবাহিনীর পরবর্তী টার্গেট হবে রাফা। তিনি এটিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করেছেন।

গ্যালান্টের মন্তব্যের পর রাফার সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের একটি পদক্ষেপ অসহনীয় মানবিক সংকট সৃষ্টি করবে। এই অঞ্চলের মানুষ ইতোমধ্যেই একটি দুঃস্বপ্নের মধ্যে রয়েছে। এখন অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির সময় এসেছে।’  

তিনি যোগ করেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের উপর একটি ক্ষত স্বরূপ। এটি সমগ্র অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের শুরু করা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার যেমন কোনো ন্যায্যতা নেই, তেমনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত শাস্তিরও কোনো যৌক্তিকতা নেই।’  

গুতেরেস জাতিসংঘের রেজল্যুশন, আন্তর্জাতিক আইন এবং পূর্ববর্তী চুক্তির ভিত্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতিও জোর দেন।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। এরপর একইদিন গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৪ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে কমপক্ষে ২৭ হাজার ৫৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৬ হাজার ৯৭৮ জন আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি