রাফাহ শহর খালি করার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

এবার গাজার দক্ষিণের মিসর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহর ফিলিস্তিনি মুক্ত করার নির্দেশ দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে এ নির্দেশ দেন তিনি। অথচ জনাকীর্ণ রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়ে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্বাস্ত হয়ে আসা ১২ লাখের বেশি মানুষ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাফাহ শহর থেকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে এবং সেখানে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটি দ্বৈত পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনির শেষ আশ্রয়স্থল রাফাহ শহরে স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এ নিয়ে বিরাগভাজন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান মাত্রা ছাড়িয়েছে। ওয়াশিংটন বেসামরিক লোকদের কথা বিবেচনা ছাড়া রাফাহতে কোনো সামরিক অভিযান চালানোকে সমর্থন করবে না।

তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, হামাসকে নির্মূল না করে এবং রাফাহ শহরে হামাসের চারটি ব্যাটালিয়নকে সক্রীয় রেখে যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব। বিপরীতে, এটিও স্পষ্ট যে রাফাহতে বেসামরিকদের যুদ্ধের এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আর তাই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিয়ে রাফাহ শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে হামাস ব্যাটালিয়নগুলো ধ্বংস করার জন্য একটি সম্মিলিত পরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক সহায়তা গোষ্ঠীগুলো বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফাহ শহরে হামলা চালায়, তাতে ফিলিস্তিনি মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেকগুন বেশি হবে।

গাজায় গত চার মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ২৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।