রিজভী, এ্যানি, শিমুলসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আটক। শতাধিক আহত,নিহত- ১

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের পর বিএনপির ৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ শতাধিক কর্মীকে আটক করেছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ এ ধরপাকড় করে। শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও একজন নিহত হয়।

নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৪০)। তাৎক্ষণিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত দেখেছেন তিনি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েলসহ শতাধিক কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকা থেকে কতজনকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা ও আশে-পাশের গলি থেকে অনেক মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ উপলক্ষে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা যত বাড়তে থাকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। অপরদিকে, সকালে থেকেই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ অবস্থান জোরদার করতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যা পুলিশ অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয় নয়াপল্টনের আশে-পাশে।

আটক হবার আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

রিজভী বলেন, বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অনেকেরই পায়ে, হাতে ও দেহে গুলি লেগেছে। হামলা যতই করা হোক ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।

এর আগে বেলা ৩ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।