অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি জরুরি অধিবেশন চলাকালীন এই ভোটভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৪১ দেশ রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ামি হেরাল্ডের খবর।
রাশিয়াসহ সাত দেশ রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে। অন্য ছয় দেশ হলো- বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, সিরিয়া, মালি এবং নিকারাগুয়া। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশসহ ৩২ দেশ। এই দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো- ভারত, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, কঙ্গো, আর্মেনিয়া ও ভিয়েতনাম। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এই দেশগুলোই মূলত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক বা কূটনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে।
প্রস্তাবনায় দুই দেশের মধ্যে দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। পক্ষে থাকা সদস্যদের মধ্যে ইউক্রেনের শক্তিশালী মিত্ররা রয়েছে। তারাই রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা এবং পোল্যান্ড।
২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়ার পক্ষে পাঁচটি ভোট পড়েছিল। দেশগুলো হলো- রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া। গতকাল আরও দুটি দেশ মালি এবং নিকারাগুয়া তাতে যুক্ত হয়েছে।
টাইমসের রিপোর্টমতে, কিছু দেশ যারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা যুদ্ধকে ইউরোপীয় বা পশ্চিমা ইস্যু হিসেবে দেখছে।
টাইমস লিখেছে, আরও কিছু দেশ আছে যারা প্রাথমিকভাবে আক্রমণের নিন্দা করেছিল। কিন্তু তারা রাশিয়ায় তাদের রপ্তানি বাড়িয়েছে। যেমন তুরস্ক ও চীন। তুরস্ক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ায় পণ্য পরিবহন তিনগুণ বাড়িয়েছে। তবে গতকালের ভোটে তুরস্ক রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এর আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারদের গুরুতর পরিণতি অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে চীনের দিকে ইঙ্গিত করে একথা বলেছিলেন।
জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড গতকাল ভোটের পরে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আবার নিন্দা করার প্রস্তাব গ্রহণ করার ঘটনা ঐতিহাসিক। ১৪১টি দেশ ইউক্রেনে ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে।