রোজার আগেই দ্বিগুণ খেজুরের দাম

রোজার ইফতারে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য খেজুর। প্রতিটি রোজাদারের ইফতারে আর কিছু না থাকুক, খেজুর চাই-ই-চাই। তবে, এবার রমজানে খেজুর কিনতে ভোক্তাদের খরচ করতে হবে বাড়তি টাকা। এরই মধ্যে পাইকারি ও খুচরা বাজারে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাই রোজায় খেজুরের বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইতোমধ্যে জাতভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। দেড় হাজার টাকার আজওয়া খেজুরের দাম উঠেছে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। আমদানিকারকদের দাবি, এবার খেজুর আমদানি করতে এলসিই খোলা যাচ্ছে না।

খেজুর বিক্রেতারা বলেন, গত বছর মমতাজ-মরিয়ম জাতের খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর বাজারে তা ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর ফরিদা জাতের খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ বছর ইতোমধ্যে বেড়ে সর্বনিম্ন হয়েছে ১৫০০ টাকা। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চাহিদার তুলনায় খেজুরের আমদানি কমেছে প্রায় অর্ধেক হারে। রোজায় খেজুরের চাহিদা থাকে ৫০ হাজার টনের মতো। গত তিন মাসে খেজুর আমদানি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টন। যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ কম। অবশ্য জানুয়ারিতে ২৯ হাজার টন খেজুর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। যা রোজার আগে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে, আমদানিকারকরা বলছেন, এলসি খোলা গেলেও, অনেক ব্যবসায়ী পণ্য খালাস করতে পারছেন ডলার ছাড় না দেওয়ার কারণে। পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খেজুর আমদানিতে ঋণপত্র খোলাই তাদের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকটে কম দামে খেজুর সরবরাহ করতে কমাতে হবে আমদানি শুল্ক। ক্যাবের বাজার বিশ্লেষক কাজী আবদুল হান্নান বলেন, ১০০ টাকায় যে খেজুরটি কিনে আনা হবে, সেটির ওপর শুল্ক ১০৩ টাকা। অর্থাৎ ক্রয়মূল্য ও শুল্ক মিলিয়ে পড়ে ২০৩ টাকা। এর ওপরে আমদানি করে আনতে খরচ ও মুনাফা। এই শুল্ক যদি কমিয়ে দেন, তাহলে হয়তো দাম কিছুটা কমানো সম্ভব।