রোজা রেখেও মানুষ কেন পুরোপুরি ভালো হয় না?  

বিদেশি অমুসলিমদের কাছে রোজা এক বিস্ময়ের নাম। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে! কিন্তু কেন?

এই না খাওয়া নিয়ে তাদের আরো মজার মজার প্রশ্নও আছে।

তারা যেসব প্রশ্নগুলো করে:

*পানিও খাওয়া যাবে না?

*সিগারেটও না?

*লুকিয়ে যদি খাবার খাও?

*যদি শাওয়ারে ঢুকে পানি খাও?

রোজাদার বাঙালি মুসলমান হেসে জবাব দিলেন: শাওয়ারে ঢুকে লুকিয়ে কেন খাবো? আমি তো ইচ্ছা করলে  ঘরে বসেই খেতে পারি! কিন্তু ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা কিছুই খাইনা। এটা মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এতে আমরা অভ্যস্ত।

তখন শুরু হয় বিস্ময়ের আরেক ধাপ। আবারও এক গাদা প্রশ্ন:

*কেন খাও না?

*অদৃশ্য খোদা বলেছেন বলে?

*তিনি দেখতে পাবেন বলে?

*তোমাদের এতো সংযম!

*এতটাই আত্মনিয়ন্ত্রণ!

এরপর তারা যে দুটো প্রশ্ন করে তাতে বাক্যহারা হয়ে পড়েন রোজাদার বাঙালি।

বিদেশি:

তবে তো নিশ্চয়ই তোমাদের দেশে কেউ মিথ্যা বলে না, আরেকজনের হক নষ্ট করে না, দুর্নীতি করে না, লুটপাট করে না, ঘুষ খায়না, পাপ করেনা! পুলিশ সেখানে বেকার, কোর্টে কোনো কেস নাই, ওকালতি পেশা শেষ!

রোজাদার বাঙালি মুসলমান ধূসর দৃষ্টি মেলে কেবল ভাবতে থাকেন। কী উত্তর দেবেন, বুঝে উঠতে পারেন না। তার মনে হয়, রোজার উদ্দেশ্য তো এমনই ছিল, কিন্তু আমাদের সমাজে এ ইতিবাচক পরিবর্তনটা আশানুরূপ হচ্ছে না কেন? 

একেবারে যে হচ্ছে না, তেমন তো নয়।অসংখ্য মানুষ রোজার মতোই সবক্ষেত্রে তাকওয়া বা পরহেজগারির জীবন কাটাচ্ছে। কিছু মানুষের জীবনে রোজাটা ফ্যাশন বা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজার মূল উদ্দেশ্য ও আবেদন তারা বুঝতে পারছে না। তাদের জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। তাহলেই বিদেশিদের ধারণা একসময় ষোলো আনা সঠিক হবে।